মানুষের স্বপ্ন পুড়িয়ে ‍দিচ্ছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫ সময়ঃ ১২:৪৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:২৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম

শেখ-হাসিনাদেশের ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়া হলো একুশে পদক। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে পদক তুলে দেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি?’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। কিন্তু কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আজ স্কুলে যেতে পারছে না।’

বিএনপির চলমান হরতাল অবরোধের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১ জানুয়ারি আমরা ৪ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ছাত্রছাত্রীর হাতে বই তুলে দিয়েছি। কিন্তু ৬ জানুয়ারি থেকে অবরোধ-হরতাল চলছে। প্রতিটি কর্মদিবসে হরতাল দেয়া হচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। অথচ তাদের পড়ালেখায় বাধা দেয়া হচ্ছে।’ বই পাওয়া এসব শিক্ষার্থীদের অপরাধ কী তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দরিদ্র বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারেন না। তাই আমরা তাদের বৃত্তি দিয়ে স্কুলে পাঠাচ্ছি। ৭৮ লাখ ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বিশেষ বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০১৫ সালের একুশে পদক দেওয়া হয়।

এবার ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম শাখায় একজন করে, ভাষা ও সাহিত্যে দু’জন, শিল্পকলায় তিনজন, শিক্ষায় দুই জন এবং সমাজসেবায় অবদানের জন্য তিনজন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক দেওয়া হলো।

পদকপ্রাপ্তদরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে প্রয়াত পিয়ারু সর্দার (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে অধ্যাপক মো. মজিবর রহমান দেবদাস, ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা ও মুহম্মদ নুরুল হুদা,

শিল্পকলায় প্রয়াত আব্দুর রহমান বয়াতি (মরণোত্তর), এস এ আবুল হায়াত‍‍ এবং এ টি এম শামসুজ্জামান, শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান ও সনৎ কুমার সাহা, গবেষণায় আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া, সাংবাদিকতায় কামাল লোহানী, গণমাধ্যম শাখায় ফরিদুর রেজা সাগর, সমাজসেবায় ঝর্না ধারা চৌধুরী, শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের ও অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী।

সম্মাননাস্বরূপ প্রত্যেককে নগদ এক লাখ টাকা, ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক দিয়ে থাকে।  ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/জেমস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G